নারায়ণগঞ্জে দুই নদীতে ডুবে ২ ছাত্রের মৃত্যু  


নারায়ণগঞ্জের দুটি নদীতে ডুবে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে ও অপরজন হাড়িধোওয়া নদী পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। শুক্র ও শনিবার আলাদাভাবে দুটি ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন,  আবির হোসেন (১৫)। সে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের রায়পুরা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি উজ্জলের পুত্র ও  শম্ভুপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। অপরজন রাকিব হোসেন (১৭)। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ নং ওয়ার্ডস্থ গোদনাইল এলাকার ভাড়াটিয়া খোরশেদ আলমের ছেলে। সে সরকারি আদমজীনগর এমডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।  

পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আড়াইহাজারে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে সাতরে নদী পার হতে গিয়ে পানির স্রোতের সাথে ভেসে যায় আবির। স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখূঁজির পর তাকে না পেয়ে ডুবুরী দলকে সংবাদ দেন। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডুবুরী দল এসে ঘটনাস্থল হতে অনেকটা দূর থেকে আবিরের লাশ উদ্ধার করেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, আবির নদী পারাপারের জন্য পাকা ব্রিজ থাকা সত্যেও সাতরে হাড়িধোওয়া নদী পার হতে যায়। এ সময় প্রবল স্রোতের সাথে সে ভেসে যায়। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। নিহত আবিরে মরদেহ তার পরিবারের কাছে  বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বলেন,ওসি আহসান

অপর দিকে শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের  লক্ষ্মীনারায়ণ বর্ণালী ঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় রাকিব নামে নিখোঁজ এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ওইদিন সকালে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল রাকিব ।  

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, রাকিবসহ দুই বন্ধু শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে নামে। এ সময় রাকিব পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। শুকক্রবার রাতে নৌ-পুলিশ রাকিবের লাশ উদ্ধার করে। শনিবার সকালে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তেই দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। দুটি ঘটনাতে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম চলছে বলে জানায় পুলিশ।