সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর 

নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি থানায় বিভিন্ন সময়ে করা মামলায় সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে ১২টি মামলায় জামিনের আবেদন করে আদালতে তোলা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।


পরে তাকে পুনরায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আদালতে আনা হয়। গিয়াসউদ্দিনকে আদালতে আনা হবে জেনে আদালতে ভিড় করে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ। জামিনের আবেদন করা ১২টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলা ফতুল্লা মডেল থানার, ৪টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার, ২টি সোনারগাঁ থানার, ১টি বন্দর থানার ও একটি রূপগঞ্জ থানার মামলা রয়েছে।


জামিন আবেদনের বিষয়ে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন করেছে। ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অজস্র গায়েবি মামলা হয়েছে। সেই গায়েবি মামলায় গিয়াসউদ্দিনকে আজ আদালতে আনা হয়েছিলো। মোট ১২টি মামলায় আজ তার শুনানি হয়।

শুনানি শেষে আদালত সব কয়টি মামলাতেই তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে এবং ১২টি মামলাতেই তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে। বিরোধী দল করার কারণে আমাদের মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। সেই সব মিথ্যা মামলায় গিয়াসউদ্দিন কারাগারে।

সাখাওয়াত হোসেন খান

রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, সকাল পৌঁনে ১০ টার দিকে গিয়াস উদ্দিনকে আদালতে তোলা হয়। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানার ১২টি মামলায় তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।