এসপি-ডিসির বিরুদ্ধে নাশিল করবেন শামীম ওসমান

‘প্রত্যাঁশা’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পরও সাড়া না দেওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা বন্ধে আজকের এই আয়োজন। এখানে অংশ নিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এরপরও তারা আসেননি। তারা কেন আসেননি তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইব।

স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্যে করে শামীম ওসমান বলেন, মনে রাখবেন আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারও দয়ায় চলি না। রাজনৈতিক জীবনের ৪৫ বছরে তিনি এত বিব্রত হননি বলেও উল্লেখ করেন।

কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই সাংসদ ‘প্রত্যাঁশা’ নামের একটি সংগঠন করে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক নির্মূলসহ সামাজিক সমস্যা দূর করার ঘোষনা দেন শামীম ওসমান।

এ নিয়ে আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘প্রত্যাঁশা’ আত্মপ্রকাশ সভার আয়োজন করা হয়। সে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে না দেখে তিনি শামীম ওসমান এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি মাথা নত করার মানুষ না। অনেকে অনেক কিছু করেন আমরা দেখি। টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ী, মামলা হয় ফতুল্লা। এগুলো বলতে চাই না। হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ, আমরাই ঠিক করবো।

মেয়র আইভীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, নাসিক মেয়রের (ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী) মতো বলতে পারবো না যে প্রশাসন টাকা কামাতে আসে। জেলা প্রশাসককে বারবার দাওয়াত দিয়েছি। তিনিসহ প্রশাসনের অন্যরা কেন আসেননি, আমি জীবিত থাকলে এই প্রশ্ন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করব।

বলেন, শামীম ওসমান

এটা আওয়ামী লীগের সরকার, সরকারের আওয়ামী লীগ না। রাজপথ থেকে সৃষ্টি হয়েছি, রাজপথেই শেষ হব। মাথা নোয়াবার মানুষ আমি নই।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি। ওয়াদা করেছি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও ইভটিজিং বন্ধ করব। তাই এ সভায় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ছাত্রছাত্রীরা এসেছেন এখানে। সকলে মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ চাই, একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ চাই।

মাদক বিক্রেতাদের ইবলিশ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ওরা শক্তিশালী। ওদের দুর্বল ভাবলে চলবে না। এখন ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। মাদক থেকেই আসে সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং। নারায়ণগঞ্জের ৯০টি ওয়ার্ডের সাংবাদিক, আলেম, নারী, শিক্ষকদের নিয়ে একটা করে কমিটি করা হবে বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহিদ বাদলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থি ছিলেন।