নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় একটি ৪ তলা ভবনের নিচতলা কক্ষ থেকে সামিয়া আক্তার সোহা নামে ১৫ মাসের এক কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির মা উর্মি আক্তার মুক্তাকে (২১) গুরুতর আহত (রক্তাক্ত) অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুর বাবা শামীম আহম্মেদ (৩৩) রাজবাড়ি এলাকার বাড়িগ্রামের বাসিন্দা। গত ৩ দিন হলো তারা স্ব-পরিবারে উপজেলার ঝাউচর এলাকার মৃত হাজী ইসলাম বেপারীর ছেলে মহসিন বেপারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। তিনি মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানির ইন্ডাস্ট্রিতে চাকুরী করেন।
নিহত শিশুর বাবা শামীম আহম্মেদ জানান, রাতের ডিউটি শেষে সকাল সাড়ে ছয়টায় বাসায় ফিরে দেখি ভিতর থেকে দরজা আটকানো। অনেক চেষ্টার পর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে আমার শিশু কন্যাকে মৃত অবস্থায় খাটের উপর দেখতে পাই। রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্ত্রী টয়লেটের ভিতরে পরেছিলো। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেছি।
নিহত শিশুর বাবা
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মহসিন বেপারী বলেন, মাত্র ২/৩ দিন হলো আমার বাড়িতে নিচ তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে তারা থাকছেন, আমরা নিজেরা এখনো এ বাড়িতে এসে উঠিনি, আমরা আমাদের পুরান বাড়িতেই থাকি। আকস্মিক এমন ঘটনা আসলেই দুঃখজনক।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক পংকজ কান্তি সরকার জানান, একটি কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই স্থান থেকে তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।