নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া রেল স্টেশন এলাকার একটি ভাঙারি দোকান থেকে জামাল নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই এলাকার আল আমিনের ভাঙ্গারী দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.জামাল হোসেন ( ১৬) মৃত সাত্তার শাহের ছেলে। জামালসহ তাঁর ভাইবোন নিয়ে তাদের মা ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে জামাল বেশির ভাগ সময় রাতে ভাঙ্গারীর দোকনে থাকতো।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আল আমিনের ভাঙ্গারীর দোকানে এক সঙ্গে কয়েকজন কিশোর-যুবক রাতে থাকে। তারা দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গারী কুরাতে যায়। সে ভাঙ্গারী বিক্রি করে রাতে সে টাকায় মাদক সেবন করে।
সোমবার রাতে ওই দোকানে কয়েকজন যুবক কিশোর ভেতরে ছিলো। মধ্য রাতে তাদের মধ্যে নিহত জামালের সহতকর্মী তানজিদ নামের এক যুবক বেড়িয়ে এসে স্থানীয়দের জানায়, রাতে জুয়েল, হৃদয়, জাহাঙ্গীর, খালেক খা, খোকন ও জামাল এক সঙ্গে আল আমিনের ভাঙ্গারী দোকানে বসে জুতার আঠা পলিথিন ব্যাগে ভরে (ডান্ডি নেশা) সেবন করে।
এরপর সবাই দোকানেই ঘুমিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আমি দোকানে গিয়ে দেখি জামাল দোকানের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জামালের মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তবে সে কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা করলে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানান, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওনি নুরে আযম
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসন নিহতের মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, গত বছরের বেশি সময় ধরে আমার ছেলে জামাল ওই দোকানে কাজ করে। দোকানের মালিক আল আমিন। সে সকালে আমার বাড়িতে এসে আমাকে বলে জামলা মারা গেছে।
তার লাশ নাকি পুলিশ নিয়ে গেছে। এরপর এক হাজার টাকার একটি নোট দিয়ে সে চলে যায়। আমি ভাঙারীর দোকানে গিয়ে কাউকে না পেয়ে পরে থানায় যাই। থানা থেকে আমারে হাসপাতালের ঠিকানা দিয়েছে সেখান নাকি আমার ছেলে লাশ আছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।